রাজশাহীর মোহনপুরে অবস্থিত দেশ কোল্ড স্টোরেজে সংঘবদ্ধ ডাকাতির ঘটনায় সাজেদুল শেখ ও রুবেল নামে দুজনকে গ্রেফতার করেছে সিআইডি। মঙ্গলবার (১২ আগস্ট) সন্ধ্যায় ঢাকার আশুলিয়া এবং গাজীপুরের কোনাবাড়ি এলাকা থেকে তাদের আটক করা হয়।
বুধবার (১৩ আগস্ট) দুপুরে রাজশাহী নগরীর সিআইডি কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে সিআইডির পুলিশ সুপার এএএম হুমায়ুন কবীর জানান, গত ৭ আগস্ট রাতে দেশ কোল্ড স্টোরেজে ডাকাতির ঘটনা ঘটে। ডাকাত দলের সদস্যরা শ্রমিকদের হাত-পা বেঁধে ৬৬ লাখ টাকার বৈদ্যুতিক যন্ত্রপাতি, তামার তার ও নগদ সাড়ে ৩ লাখ টাকা লুট করে নেয়।
ঘটনার পরপরই সিআইডি তদন্ত শুরু করে এবং প্রযুক্তির সহায়তায় দুই জনকে গ্রেফতার করে। এসময় চুরির কাজে ব্যবহৃত মালামালও উদ্ধার করা হয়। তাদের রিমান্ড চেয়ে আদালতে পাঠানো হয়েছে।
পুলিশ সুপার হুমায়ুন কবীর জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতারকৃতরা জানায়, এই সংঘবদ্ধ ডাকাত চক্রের নেতৃত্ব দিচ্ছেন সিরাজগঞ্জের বেলকুচির বাবা সাদেক ও ছেলে হাসান। বর্তমানে তারা ঢাকায় অবস্থান করে পুরো দল পরিচালনা করেন। তাদের অধীনে প্রায় ৫০ জনের একটি ডাকাত দল সারাদেশে বিভিন্ন কলকারখানায় ট্রাক নিয়ে গিয়ে বৈদ্যুতিক যন্ত্রপাতি ও তামার তার লুট করে থাকে।
রাজশাহীর দেশ কোল্ড স্টোরেজে ডাকাতিতে ১৪ জন সদস্য অংশ নেয়। এদের মধ্যে ৮ জন নাটোর চিনিকলের ডাকাতিতেও জড়িত ছিল। চক্রটি পরবর্তী টার্গেট হিসেবে রংপুর চিনি কল বেছে নিচ্ছিল বলে জানা যায়।
হুমায়ুন কবীর আরও জানান, চক্রের সদস্যদের বেশিরভাগই সিরাজগঞ্জের বাসিন্দা, যারা ঢাকায় বিভিন্ন পেশায় শ্রমিক হিসেবে কাজ করে। দলটির মধ্যে দুজন সদস্য সারাদেশে ঘুরে ঘুরে কলকারখানার তথ্য সংগ্রহ করে, এরপর সেই তথ্য বাবা-ছেলেকে জানানো হয়। তারা ডাকাতির স্থান ও সময় নির্ধারণ করে পুরো দলকে পরিচালনা করে। প্রতিটি অভিযানে ১০ থেকে ১৫ জন সদস্য অংশ নেয় এবং প্রতি সদস্য ১৫ থেকে ৩০ হাজার টাকা পর্যন্ত পারিশ্রমিক পায়।
সিআইডি আরও জানায়, ডাকাতির সময় দলটি নম্বরবিহীন দুটি পিকআপ ভ্যান ব্যবহার করে এবং একবার ব্যবহার করা মোবাইল ও সিম কার্ড নষ্ট করে ফেলে। দলের অধিকাংশ সদস্যের বিরুদ্ধে দেশের বিভিন্ন থানায় একাধিক মামলা রয়েছে।
পুলিশ জানিয়েছে, রাজশাহীতে অংশ নেওয়া ডাকাত দলের বাকি সদস্যদের গ্রেফতারে অভিযান চলছে। সিআইডি আশা করছে, রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদের মাধ্যমে পুরো চক্রটি চিহ্নিত ও ধরা সম্ভব হবে।
বুধবার (১৩ আগস্ট) দুপুরে রাজশাহী নগরীর সিআইডি কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে সিআইডির পুলিশ সুপার এএএম হুমায়ুন কবীর জানান, গত ৭ আগস্ট রাতে দেশ কোল্ড স্টোরেজে ডাকাতির ঘটনা ঘটে। ডাকাত দলের সদস্যরা শ্রমিকদের হাত-পা বেঁধে ৬৬ লাখ টাকার বৈদ্যুতিক যন্ত্রপাতি, তামার তার ও নগদ সাড়ে ৩ লাখ টাকা লুট করে নেয়।
ঘটনার পরপরই সিআইডি তদন্ত শুরু করে এবং প্রযুক্তির সহায়তায় দুই জনকে গ্রেফতার করে। এসময় চুরির কাজে ব্যবহৃত মালামালও উদ্ধার করা হয়। তাদের রিমান্ড চেয়ে আদালতে পাঠানো হয়েছে।
পুলিশ সুপার হুমায়ুন কবীর জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতারকৃতরা জানায়, এই সংঘবদ্ধ ডাকাত চক্রের নেতৃত্ব দিচ্ছেন সিরাজগঞ্জের বেলকুচির বাবা সাদেক ও ছেলে হাসান। বর্তমানে তারা ঢাকায় অবস্থান করে পুরো দল পরিচালনা করেন। তাদের অধীনে প্রায় ৫০ জনের একটি ডাকাত দল সারাদেশে বিভিন্ন কলকারখানায় ট্রাক নিয়ে গিয়ে বৈদ্যুতিক যন্ত্রপাতি ও তামার তার লুট করে থাকে।
রাজশাহীর দেশ কোল্ড স্টোরেজে ডাকাতিতে ১৪ জন সদস্য অংশ নেয়। এদের মধ্যে ৮ জন নাটোর চিনিকলের ডাকাতিতেও জড়িত ছিল। চক্রটি পরবর্তী টার্গেট হিসেবে রংপুর চিনি কল বেছে নিচ্ছিল বলে জানা যায়।
হুমায়ুন কবীর আরও জানান, চক্রের সদস্যদের বেশিরভাগই সিরাজগঞ্জের বাসিন্দা, যারা ঢাকায় বিভিন্ন পেশায় শ্রমিক হিসেবে কাজ করে। দলটির মধ্যে দুজন সদস্য সারাদেশে ঘুরে ঘুরে কলকারখানার তথ্য সংগ্রহ করে, এরপর সেই তথ্য বাবা-ছেলেকে জানানো হয়। তারা ডাকাতির স্থান ও সময় নির্ধারণ করে পুরো দলকে পরিচালনা করে। প্রতিটি অভিযানে ১০ থেকে ১৫ জন সদস্য অংশ নেয় এবং প্রতি সদস্য ১৫ থেকে ৩০ হাজার টাকা পর্যন্ত পারিশ্রমিক পায়।
সিআইডি আরও জানায়, ডাকাতির সময় দলটি নম্বরবিহীন দুটি পিকআপ ভ্যান ব্যবহার করে এবং একবার ব্যবহার করা মোবাইল ও সিম কার্ড নষ্ট করে ফেলে। দলের অধিকাংশ সদস্যের বিরুদ্ধে দেশের বিভিন্ন থানায় একাধিক মামলা রয়েছে।
পুলিশ জানিয়েছে, রাজশাহীতে অংশ নেওয়া ডাকাত দলের বাকি সদস্যদের গ্রেফতারে অভিযান চলছে। সিআইডি আশা করছে, রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদের মাধ্যমে পুরো চক্রটি চিহ্নিত ও ধরা সম্ভব হবে।